শিবপুরের দিকে দু’টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। একটি মঞ্চে আধিকারিকরা আছেন। অন্যটি সাধারণ দর্শকদের জন্য। মঞ্চের ঠিক সামনেই এলসিডি স্ক্রিন রয়েছে। ইলামবাজার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হচ্ছে। সেতুর উপর ফলক উন্মোচন করলো গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, এছাড়া উপস্থিত ছিল জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ,adda চেয়ারম্যান সহ উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।বীরভূমের ইলামবাজারে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এই বহুপ্রতীক্ষিত সেতুর।কাঁকসার বিদবিহারে ছিল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের বিশাল পর্দা, যেখানে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক প্রশাসনিক ও জনপ্রতিনিধিরা। রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, গোলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি, দুর্গাপুরের নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, এডিডিএ-র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, এবং মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন “অজয় নদে গড়ে উঠেছে যে সেতু, তার নাম জয়দেব সেতু করা হোক। এই সেতু বহু মানুষের উপকারে আসবে। বিশেষ করে জয়দেবের মেলায় আসার পথে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। মানুষজনকে আর ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল অজয় পার হতে হবে না।” মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “এই সেতু নির্মাণের ফলে দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত আরও সহজ ও দ্রুত হবে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পরিবহণের সংযোগ দৃঢ় হল। এটা নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা কুর্নিশ জানাই।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : অজয় নদের উপর নবনির্মিত সেতু উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অজয় নদের উপর স্থায়ী সেতু তৈরি হওয়ার ফলে পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হলো। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যেও যোগাযোগের পথ সুগম হলো। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে কাঁকসার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নতুন সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জমিজট সহ বিভিন্ন কারণে সেতু নির্মাণে বেশ কিছুটা সময় লাগলো।সেতুটি শিবপুর এলাকায় শুরু হয়ে ইলামবাজারের টিকরবেতায় শেষ হয়েছে। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৭৩ কিলোমিটার। যার মোট খরচা ১৩৭ কোটি টাকা।ইলামবাজার হয়ে ঘুরে দুর্গাপুর মুচিপাড়া যেতে হলে কমপক্ষে ২৫কিলোমিটার রাস্তা বেশি যেতে হয়। এই সেতু চালু হলে মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তা ধরে শান্তিনিকেতন যাওয়ার দূরত্ব প্রায় ২২-২৫কিলোমিটার কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment