অন্যদিকে বিধায়ক বলেন, এটা আমার কর্তব্য। আরো আগে জানালে আমি ব্যবস্থা নিতাম। আসলে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রাম থেকে উঠে আসা লড়াই করা একজন মানুষ। পরে রাজনীতিবিদ । কখনো তার মানুষের জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুংকার কখনো তার অবসাদ কখনো তার ভালোবাসা নানান ছবি আমরা দেখতে পাই। কিন্তু মানুষটা একই রকমই রয়ে গেলেন হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে । পদে থাকেন তো প্রচুর মানুষ কিন্তু কজনই বা মানুষের পাশে দাঁড়ান কজনই বা মানুষকে নতুন করে জীবনের পথ দেখান । তাই ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করবো না এই মানুষটিকে। রথের মেলার আগে স্মৃতির রোমন্থন করতে হাতে টানা রথ তুলে দেন এলাকার বাচ্চাদের হাতে ।সার্কাস দেখতে চাওয়া বাচ্চাদের সার্কাস দেখাতে দিয়ে যান। শৈশবটাকে যে হারিয়েছেন তিনি ...নিজে সেই শৈশবটাকে এই নতুন প্রজন্মের মধ্যে আবার ফুটিয়ে তুলতে চান এবং এই নতুন প্রজন্মের কচিকাঁচাদের মধ্যে তার শৈশবকে ফিরে পেতে চান এমন একজন মানুষকে শ্রদ্ধা না জানিয়ে উপায় কি ...নিন্দুকেরা হয়তো আমাদের চটিচাটা বলবেন তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না আমরা সোজা কথায় সোজা ভাবে বলি।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এখনো যে মানবিক দিক থেকে আগের জায়গাতেই অবস্থান করেন তার প্রমাণ আবারও মিলল। ডায়ালাইসিস আক্রান্ত রোগীকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করলেন বিধায়ক। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা অনুপ দাস প্রায় দশ বছর ধরে কিডনি জনিত সমস্যায় ডায়ালাইসিস চালিয়ে যাচ্ছেন, নিজ খরচায়। বাড়িতে রোজকার বলতে কেউ নেই মা স্ত্রী নেই কোন সন্তান। আর্থিক অনটনে দিন চলতে থাকাই ধীরে ধীরে অবসাদে গ্রাস করে অনুপকে। তাই অনুপ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী মা দেখে ফেলায় এই যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান। গ্রামবাসীদের খবর দেওয়াই, গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে খবর দেন। মাননীয় বিধায়ক তড়িঘড়ি তার বাড়িতে ছুটে আসেন এবং ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করেন। এবং মাননীয় বিধায়কের দায়িত্ব নেন তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ খরচা তিনি বহন করবেন। তার স্ত্রী নিবেদিতা দাস বলেন, আমার স্বামী কে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনলেন আমাদের নরেন দা। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল।এই অবস্থায় আমাদের কিছু করার ছিল না। আমাদের কাছে তিনি ভগবান।
No comments:
Post a Comment