রক্ত মাখা সেই রাত এখনও তাড়া করে বেড়ায় লাউদোহার লবনাপাড়ার মানুষকে। একজন স্ত্রী, একজন বৌদি এক রাতে নিথর হয়ে গেলেন নিজের ঘরেই। সেই ঘর, যেখানে ছিল সংসার, ভালোবাসা আর বিশ্বাসঘাতকতা। ২০১২ সালের ২৮ জুন। মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। নিথর দেহ মেঝেতে। রাতের অন্ধকারে, ঘরের ভিতরেই ঘটে গেল বিভীষিকা। বৌদি—দেওরের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ, আর সেই সম্পর্কের জেরেই গড়ে ওঠা এক ভয়ংকর অপরাধের কাহিনি। স্বামী রঞ্জিত মজুমদার ও দেওর সমীর মজুমদারের বিরুদ্ধে দায়ের হয় খুনের অভিযোগ।দুজনেই গ্রেপ্তার হন। শুরু হয় ১৩ বছরের দীর্ঘ বিচারযাত্রা। এতদিন পর, অবশেষে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক ঘোষণা করেন রায়। স্বামী রঞ্জিত মজুমদার বেকসুর খালাস, কিন্তু দেওর সমীর মজুমদার দোষী। তার বিরুদ্ধে ঘোষণা হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেরা ভেঙে পড়লেও, রায়ে আজ খানিকটা স্বস্তি। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী গোপাল কুন্ডু জানান,“সেই রাতে ওই মহিলা স্বামী ও দেওরের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। কে খুন করল কেউ দেখেনি। মাথা ফেটে রক্ত বেরোচ্ছিল। শুধু এটুকুই চোখে পড়ে। কিন্তু সম্পর্ক, পরিস্থিতি, সন্দেহ সবকিছু বিচার করে আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।”
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : অবৈধ সম্পর্কের জেরে বৌদিকে খুন! ১৩ বছর পর দেওরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড..
No comments:
Post a Comment