উইংসের মতে ধূসর নেকড়ে ও হায়না বনের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু শিল্পায়ন, খনির সম্প্রসারণ ও মানুষের অনুপ্রবেশে তাদের বাসস্থান ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তবুও বনদপ্তরের বাড়তি নজরদারি ও উইংসের গবেষণা এই বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নতুন আসা জাগাচ্ছে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর কাঁকসার জঙ্গলে নেকড়ের প্রজনন বাড়ছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইগঞ্জের জঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে নেকড়ের প্রজনন। তাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
উইংসের সদস্যরাও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন । এদিনের মূল বার্তা ছিল একটাই, যদি এই ধরনের বন্যপ্রাণীরা হারিয়ে যায় তবে নষ্ট হবে বনের বাস্তুতন্ত্র। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থানের পথই তাদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়। দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বন সংরক্ষক বিদ্যুৎ সরকার জানান, " নেকড়ে ও হায়না সংরক্ষণে বনদপ্তর বিশেষভাবে নজরদারি চালাচ্ছে বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার গড়জঙ্গল ও দুর্গাপুর ফরিদপুরের মাধাইগঞ্জের জঙ্গলে ধূসর নেকড়ের দেখা মিলেছে। উইংসের ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে নেকড়ে ও হায়নাদের গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment