বাংলায় সাম্যবাদ এসেছিল , বিশেষ করে ধর্মীয় সাম্যবাদ এসেছিল শ্রী চৈতন্য দেবের হাত ধরেই । জাতি বর্ণ , ধর্ম নির্বিশেষে শুধুমাত্র হরি হরি নাম উচ্চারণে প্রভুর পাদপদ্মে নিজেকে বিলীন করার পথ দেখান তিনি । পুরীর জগন্নাথ দেব দেশের অন্যতম মহান সধার্মিক স্থল হলেও কোথাও যেন শ্রী চৈতন্যের ধর্মীয় সাম্যবাদের বার্তা বহন করে না । আজও সেখানে প্রবেশের অধিকার নেই সবার । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে আসে এমন একটা মন্দির স্থাপন করতে হবে যেখানে জাত বর্ণ ধর্ম নয় , প্রভুর পাদপদ্মে সবার অর্ঘ্য পৌঁছে যাবে । সমুদ্র রয়েছে দীঘায় । মুখ্যমন্ত্রী দিঘাকেই বেছে নিলেন জগন্নাথ দেবের মন্দির স্থাপনের জন্য । আজ জগন্নাথ দেবের মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের শুভ কাজ সম্পন্ন হল । দুর্গাপুর দুর্গাপুরেই বসে উপভোগ করলেন বাংলার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের শুভ মুহুর্ত ।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারউদঘাটনের সরাসরি সম্প্রচার দেখার জন্য দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন । দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শহরে বসেই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন সকলেই। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন থেকে এবং তৃণমূলের বিভিন্ন ব্লকের তরফ থেকেও সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল দুর্গাপুরের নানান জায়গায়।
No comments:
Post a Comment