দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : সংস্কারের জন্য দুর্গাপুর ব্যারেজ বন্ধ হবার পর বালির চর দিয়ে যে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এলেন রাজ্যের সেচ ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন "ছুটে এসেছি তাদের সাথে কথা বলবো বলে কিন্তু ওরা ঘরে ঘুমাচ্ছে', বাঁকুড়ার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা করলেন মন্ত্রী মানষ ভূঁইয়া। আমার ডিএম এস পিরা ছুটে এসেছে আর বাঁকুড়ার সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরো বেশ কিছু সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ঘরে ঘুমাচ্ছে। তারপরেই বাঁকুড়ার সেচ দপ্তরের আরেক আধিকারিককে ধমক দিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে তৈরি হওয়া দুর্গাপুরের দামোদর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। দামোদর নদ হয়ে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে বিকল্প রাস্তা খতিয়ে দেখতে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানষ ভূঁইয়া। তিনি বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসকদের, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা রাস্তা পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করলেন। হাঁটতে হাঁটতে জানতে চাইলেন বাঁকুড়ার সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কোথায়? সেই ইঞ্জিনিয়ার সেখানে না আসায় তুমুল ধমক দিলেন এবং ডেকে পাঠানোর কথা জানালেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন,"আমি ওদের সাথে আলাদা কথা বলতাম সেই জন্য ওদের ডাকলাম। আমরা বিকল্প রাস্তা ঘুরে দেখলাম। এই রাস্তা দিয়ে আটটা জেলার সংযোগ। ভারী গাড়িগুলি অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দামোদর নদ হয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সেই রাস্তায় পাঁচটা জায়গায় জল জমছে। বাসের কোন সমস্যা হচ্ছে না, চারচাকা গাড়ির কোন সমস্যা হচ্ছে না, টোটো এবং মোটরসাইকেল এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় স্লিপ করতে পারে। আমি সেচ দপ্তরের সচিব, সেচ দপ্তরের আধিকারিক, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলবো। তাঁরা যে যে সমস্যা গুলির কথাগুলি তুলে ধরবেন সেগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।"তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন,"নদী বাঁধ ভাঙ্গনের জন্য ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপি সরকার একটিও টাকা দেয়নি। প্রতিবছর আমরা ২৮৬ থেকে ২৯০ কিলোমিটার নদী বাঁধ সংস্কার করি। সেই জন্য আমাদের খরচ দিতে হয় ৫৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকা না দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার সরকার এবং বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। আমাদের না জানিয়েই জল ছেড়ে দেয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।" এদিন উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নমবলাম এস। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ডক্টর সৌরভ চ্যাটার্জী সহ দুই জেলার পুলিশের কর্তারা। এবং আরো বিশিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা এরপরে দুর্গাপুরের সেচ দপ্তরের বাংলোতে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। সকলের সঙ্গে মানস বাবু বৈঠকের পরে তিনি জানান সমস্ত কিছু পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মানুষের জন্য সমস্ত সমাধান করতে এবং যাতায়াতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Monday, April 28, 2025
Home
Unlabelled
দুর্গাপুর ব্যারেজ বন্ধ হবার পর কি ধরনের বিকল্প রাস্তা সরজমিনে দেখতে এলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া
দুর্গাপুর ব্যারেজ বন্ধ হবার পর কি ধরনের বিকল্প রাস্তা সরজমিনে দেখতে এলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis autem vel eum iriure dolor in hendrerit in vulputate velit esse molestie consequat.
No comments:
Post a Comment