একেতো ৪৫° তাপমাত্রা তারপর আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া। লাগাতার বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরেই বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। দুর্গাপুরের বিধান নগরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অফিসের ভেতরেই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ । দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি সহ বিধান নগরের বেশকিছু এলাকাবাসীর। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের ফ্যান,লাইট। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের কাজকর্ম। একেই প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা নাজেহাল কোন এসি নেই । তার উপর লাইট ফ্যান বন্ধ করে দেওয়াতে রীতিমতো গলদ ঘর্মো অবস্থা হলো কর্মীদের। উপায় নেই তাই মহিলা কর্মীরা বারবার ভিজে কাপড় মাথায় মুখে জড়িয়ে কোনভাবে বসে রইলেন ছিলেন এক গর্ভবতী মহিলা কর্মীও। অসহায় অবস্থায় বসে রইলেন অফিসে । দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারি। ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছালো নিউ টাউনশীপ থানার পুলিশ । বিদ্যুৎ দপ্তরের মহিলা কর্মীরা ভীত অবস্থায় রয়েছেন এই ঘটনায় । যে ট্রান্সফরমার ওখানে রয়েছে সেখানে আরো বেশি লোড বাড়ছে তার কারণ আরো নতুন কানেকশন দেওয়া হচ্ছে। এই অনিয়মের কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি আধিকারিকরা যেখানে এই সমস্যা তা দেখতে বাসিন্দাদের সঙ্গে যান তারপর এই মেটে সমস্যা । শহর জুড়ে বারবার লোডশেডিং এর কারণে নাজেহাল শহরবাসী । অনেকে বলছেন এক একটা ঘরে দুটো তিনটে করে এসি চলছে। লোড বাড়ছে ট্রান্সফরমারে। তার ওপরে নতুন কানেকশন দেওয়া হচ্ছে তাই উচিত যে ট্রান্সফরমার যতটা লোড নিতে পারে তার বেশি না দিয়ে নতুন কানেকশনের জন্য অন্য ট্রান্সফর্মার বসানো উচিত। কিন্তু আদৌ এই সমস্যা মেটাতে পারবেন কিনা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মী সহ আধিকারিকরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : টানা লোডশেডিং নাজেহাল হয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর এর বিধান নগর গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দপ্তরের সমস্ত লাইট ফ্যান বন্ধ করে কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর ঘটনাস্থলে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment