দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : অনেকদিন পর আবারো মানুষের জন্য আন্দোলনে পথে নামলেন প্রাক্তন বিধায়ক এবং একসময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল।দলের বেশ কিছু নেতৃত্বের জন্য বারবার তাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে এমনটাই অভিযোগ। আন্দোলন থেকে হারিয়ে যেতে হয়েছে। তাই দল থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন অনেকটাই বছর। কিন্তু দল ছাড়েননি দলের কর্মসূচি সব সময় পালন করে গেছেন।
দুর্গাপুর শহরের মানুষ একসময় যে দাপুটে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল কে দেখেছিল নিজেদের নেতা হিসেবে সে হঠাৎ হারিয়ে গেছিল কালের নিয়মে। তাই গত বিধানসভা ভোটে হঠাৎ করেই বিজেপির কাছে হেরে গেল তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েও বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তার পপুলারিটির জন্য দুর্গাপুরের মেয়র প্রাক্তন বিধায়ক এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় কে তার কাছে হারতে হয়েছে ২০১৬ র বিধানসভা ভোটে। সেই সময় দল থেকে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হয়ে টিকিট পেয়ে বিশু পাড়িয়াল হারিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মেয়র বিধায়ক জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় কে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আর জিততে পারেননি দুর্গাপুর পশ্চিমের আসনে জিতে যায় বিজেপি নেতা লক্ষণ ঘড়ুই। রাজনৈতিক মহলের কানা ঘুসো শোনা যায়, দলই তাকে নাকি হারিয়ে দিয়েছে। বিশ্বনাথ পাড়িয়াল হেরে যাওয়ার পরে তাকে আর দেখা যায়নি। মাঝে তাকে জেলার শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানেও গোলযোগ বাঁধে। নানান গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে অবশেষে তিনি দল থেকে অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নেন। কিন্তু আবারো তাকে পথে দেখে উৎসাহী তার অনুগামী পুরনো তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদ নিয়ে সরগরম দুর্গাপুরে রাজনীতি। অন্যদিকে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে বিভিন্ন বেআইনির দোকানপাট সহ ঘরের। আজ সকালে সিটি সেন্টারে বিরাট মহা মিছিল এই সমস্ত ডিএসপির জায়গায় বসবাসকারী লোকেদের নিয়ে মিছিল করেন বিশ্বনাথ পারিয়াল। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উচ্ছেদের সঙ্গে ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদের বিষয় দুটি সম্পূর্ণ মৌলিকভাবে আলাদা। তিনি দুর্গাপুর ইস্পাতের সেইলের জমিতে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন এদের উচ্ছেদ করা চলবে না। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে দোকানপাট উচ্ছেদ করছে সে দোষ দোকানদার দেরই। তারা হাইড্রেন বিভিন্ন ড্রেন নিকাশি নালা সহ বাস স্ট্যান্ড দখল করে দোকান করছেন এটা বেআইনি। শহরে নিকাশি ব্যবস্থা রাস্তাঘাট ফুটপাত এসব দখল করে থাকলে শহরেরই সমস্যা বাড়ছে দিনের পর দিন এই বিষয়ে তিনি কোন ভুল দেখছেন না। তবে দীর্ঘ ষাট বছর ধরে কয়েক প্রজন্ম হাজার হাজার মানুষ যারা দুর্গাপুরের ৩২ এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছে, যারা ভোটার কার্ড পেয়েছে বিদ্যুৎ পেয়েছে জল পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে তাদের গ্রামে তাদের হঠাৎ করে এই উচ্ছেদের নোটিশ এটা গা জোয়ারী ছাড়া আর কিছু নয়, তাই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তার এই আন্দোলন চলবে এলাকার মানুষকে নিয়ে। তবে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল কে আবার আগের মত মানুষের সমর্থন নিয়ে পথে আন্দোলন করতে নামতে দেখে কিছু তৃণমূল নেতা যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে অন্য জল্পনা শুরু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment