DurgapurUpdate

Durgapur Update 24 X 7 bengali news portal


Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, August 27, 2023

ঐতিহাসিক স্থানে নতুন প্রজন্মকে নোংরা এনার্জি যোগাচ্ছে দূর্গাপুরের এনার্জি পার্ক বলে অভিযোগ

দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক  :  নতুন প্রজন্মকে নোংরা এনার্জি যোগাচ্ছে  দুর্গাপুরের এনার্জি পার্ক বলে অভিযোগ শহর জুড়ে।
বাম আমলে তৈরি হয়েছিল দুর্গাপুরের এনার্জি পার্ক মূলত সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে সকলকে অবগত করতে এবং সচেতন করতে এই পার্কের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বাম আমলে তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী মৃনাল বন্দ্যোপাধ্যায় এস পি গন চৌধুরীর পরিকল্পনায়। এই সৌর বিদ্যুতের এনার্জি নিয়ে একসময় চলতে হবে শহর সহ গোটা রাজ্য সহ গোটা দেশকে এই ভাবনা তখন বাম আমলে শাসকদলের মনে হয়েছিল। তাই  সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে দুর্গাপুরে দেবী চৌধুরানীর ঐতিহাসিক গুহা হিসেবে খ্যাত সিটি সেন্টারের  ঐতিহাসিক টিলাতে গুহার জায়গা সংরক্ষিত রেখে ওই জায়গায় বিরাট এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল দুর্গাপুর এনার্জি পার্ক।। দুর্গাপুরের ইতিহাসে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর কথা বারবার উল্লেখ হয়েছে বিভিন্ন বইতে। কেউ এটাকে সত্য বলেন আবার কেউ এটাকে অসত্য বলেন। তবে বেঙ্গল অম্বুজা তৈরীর সময় যে গুহা বেরিয়ে পড়েছিল তারপর সেই গুহা সহ এই প্রাচীন টিিলাকে নিয়ে হেরিটেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা অনেকেরই জানা নেই। এই তথ্য আগামী সংখ্যার খবরের কাগজে আরো বিশদভাবে তুলে ধরা হবে আমাদের পাঠকদের কাছে। সেই ঐতিহাসিক টিলা যা লোকোমুখে দেবী চৌধুরানীর গুহা হিসেবে পরিচিত ছিল তা এনার্জি পার্কে বদলে গেল। সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে অপ্রচালিত বিদ্যুৎ নিয়ে জানতে প্রায় দিনই ভিড় জমতো এই পার্কে। কিন্তু দেখভালের অভাবে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে গেল সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে জানার ক্ষেত্র এই এনার্জি পার্ক। এরপর জঙ্গলে ভরা পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়তে থাকলো তারপর এটা বেশ কয়েক বছরের লিজে কোন একজনকে দিয়ে দেওয়া হলো। যিনি বাম আমলে বাম আমলের নেতাদের প্রিয় পাত্র ছিলেন ঠিকাদারি করেছেন। তৃণমূলের আমলে তৃণমূলের প্রিয় পাত্র হয়েছেন মাঝে বিজেপি আসার হিড়িকে অনেকের সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেছেন এ সমস্ত আগামী সংখ্যায় ডিটেলস জানবেন আমাদের পাঠকেরা। এতটা পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু নোংরা ব্যবসা কে হাতিয়ার করে টাকা কামানোর লক্ষ্যে এই পার্ক নোংরামির এবং অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেল যা পথ চলতি মানুষের নজরে পড়তো প্রতিদিন। চোখের সামনে ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েদের যুবতীদের অসভ্যতা তারিয়ে তারিয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তা থেকে উপভোগ করতেন পথ চলতি মানুষসহ বাস যাত্রী থেকে অন্যান্য গাড়ি চালকেরা। অসাবধানতায় অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। অনেকের অভিযোগ এরপরে সংবাদমাধ্যমে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে সংবাদ মাধ্যমকে সামনে রেখে আর দলীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীর স্ট্যাম্প পিঠে সেঁটে মাননীয় সেই ব্যক্তির এ ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। পার্কের ভিতরে বিভিন্ন রুম ঘন্টায় শারীরিক মজা উপভোগ করতে ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। আমাদের এই প্রিয় শহরের কিছু নোংরা  দালাল তা অপারেট করছে। ইদানিং সমাজব্যবস্থাকে এবং সমাজের দায়বদ্ধতাকে তোয়াক্কা না করে এই পার্কে ঢুকে যাচ্ছে স্কুল ড্রেস পরা ছেলেমেয়েরাও এ অভিযোগে শহরের অনেকেরই। পার্কে ঢুকে স্কুলড্রেস ব‍্যাগে ভরে অন্য জামা কাপড় পড়ে মাতছে সরিরী নেশায়। একই অভিযোগ দুর্গাপুরের এই পার্কের পার্শ্ববর্তী আনন্দ পার্ক কে নিয়েও। পরিবার নিয়ে এই দুটি পার্কে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই যেতে পারেন না এই নোংরামির জন্য। এখন তো পার্কের বাইরের থেকে দেখতে পাওয়া নোংরামিল দৃশ্য দূষণ আটকাতে তড়িঘড়ি উঁচু উঁচু টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে পার্কের চারিদিক। এনার্জি পার্কে এনার্জি নিতে খুলে দেওয়া হয়েছে মদের দোকান শহরের ব্যস্ততম রাস্তার ওপরেই।যাদের আওতাধীন এই পার্কটি সেই আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন আমার কাছে বিভিন্ন মানুষ অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু প্রমান সহ দিতে না পারার জন্য এখনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তা বলে আমরা থেমে থাকিনি  আমরা নজরদারি রাখছি। সরকারের দেওয়া পার্কে সাধারণ মানুষ ঘুরে বেড়াবে সেখানে অনৈতিক এবং অসামাজিক কাজ বরদাস্ত করা হবে না। যার এসব অনৈতিক কাজ করার ইচ্ছা অসামাজিক কাজ করার ইচ্ছা বেলেল্লাপনা করার ইচ্ছা সেটা নিজের ঘরে করুক চার দেয়ালের মধ্যে করুক তার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু পার্কে নয়।
বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় জানিয়েছেন এরকমটা চলতে পারেনা একটা ঐতিহাসিক স্পট যেখানে এনার্জি পার্ক তৈরি করা হয়েছিল সেখানে এখন নন্দনকানন হয়ে গেছে পরিবেশ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে , টাকার বিনিময়ে ঘর দেওয়া হচ্ছে নোংরামীর জন্য এ খবর আমাদের কাছেও এসেছে দুর্গাপুর শহরে এটা কাম্য নয় আর সংবাদমাধ্যম আর রাজনৈতিক দলকে সামনে রেখে কেউ যদি এটা করে থাকেন তাহলে আমরাও নজরে রেখেছি সমস্ত বিষয়টা প্রশাসনের সামনে তুলে ধরবো। এবং এর একটা বিহিত চাই আমরা দুর্গাপুরের নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে ।
দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার জানান বাম আমলে সৌর বিদ্যুৎ কে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্যই ওয়েবব্রেডার মুখ্য দায়িত্বে থাকা এসপি-গন চৌধুরীর পরিকল্পনায় এটা তৈরি করেছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। কিন্তু এই সরকারের আমলে সরকারের তরফে ঠিকমতো দেখভাল না হওয়ায় তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবং সেটা বিনোদন পার্কে রূপান্তরিত হয়েছে। পার্ক ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বিনোদন পার্কে সবাই যেতে পারে। কিন্তু যেখানে সবার যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে এই সমস্ত কারণে সেখানে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান যখন নিজেই বলছেন নোংরামির বিষয়টা তিনি জানেন তার কাছে খবর আছে তাহলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন পুলিশ প্রশাসনেরও এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

শহরের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী থেকে আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও একই অভিযোগের কথা বলেছেন। পুলিশ সূত্রেও জানা গেছে  তাদের কাছেও খবর রয়েছে তারাও নজর রেখেছেন এই পার্কের উপর। বেশ কিছুদিন আগে শহর দুর্গাপুরে একটি বিলাস বহুল হোটেলে পুলিশের হাতে  ধরা পড়েছিল নোংরা কাজকর্মে জড়িত থাকা বেশ কয়েকজন। সেদিনই পুলিশের কাছে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে বিভিন্ন হোটেল ছাড়াও বিভিন্ন পার্কেও চলছে এই নোংরা ব্যবসা সহ চূড়ান্ত নোংরা কাজকর্ম। যা শহরের পরিবেশকে নষ্ট করছে।

তাহলে কি দেবী চৌধুরানীর কথা বলা ঐতিহাসিক এই স্থান এবং এনার্জি পার্ক নোংরা এনার্জির ব্যবসা চালিয়ে যাবে শহরে। যা নষ্ট করবে শহরের গরিমা। আদৌ এর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হয় সেটাই এখন দেখার।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot