ইদানিং এই হাসপাতালের বাইরে যানজট সমস্যা প্রচন্ড রকম ভাবে সমস্যায় ফেলছে হাসপাতালে আসা রোগীদের। প্রথমত হাসপাতালে যে দুটি গেট যে গেট দিয়ে এমার্জেন্সি পেশেন্টকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং অন্য একটি গেট যেখান দিয়ে অন্যান্য রোগীরা এবং সুস্থ হয়ে ফেরা রোগীরা ও বিভিন্ন রোগীদের তাদের পরিবারবর্গ সহ হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে আসা মানুষেরা তারা যাতায়াত করেন।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি গেটের বাইরে এতটাই যানজট বাইক থেকে টোটো টোটো থেকে অটো কোন কিছুই বাদ নেই এছাড়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাস্তা দখল করে বিভিন্ন দোকান হাসপাতালের বাইরে রাস্তার পরিসর ছোট করে দিয়েছে। এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে এই যানজট যে গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়াস অসুস্থ কোন রোগী তাকে হাসপাতালে ঢোকানোর মুখে অ্যাম্বুলেন্স চালককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও বাইরে থেকে আসা বেশকিছু অ্যাম্বুলেন্স তারাও জায়গা দখল করে রেখেছে হাসপাতাল চত্বরে বলে অভিযোগ । এইসব বেআইনি ভাবে জায়গা দখল করে রাখা দোকান বাইক সহ অন্যান্য গাড়ি এবং টোটো অটো সবকিছু মিলিয়ে দুটি গেটের মুখে ভয়ানক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসা তার পরিবার-পরিজনেরা তারাও গাড়ি রাখতে পারছেন না হাসপাতালে কাছে। অনেক দূর গিয়ে তাদেরকে গাড়ি রাখতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান খুবই জরুরী। হাসপাতালে বাইরে বিভিন্ন রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে এখানে গাড়ি রাখা প্রচন্ড রকম ভাবে সমস্যা। হাসপাতালে আসা এত এত রোগীর পরিবার-পরিজনদের বাইরেও কোথাও বসার গাড়ি রাখার সেভাবে কোন জায়গা নেই।
এইসব নানাবিধ কারণের জন্য আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শহরকে পরিষ্কার যানজট মুক্ত করতে বেআইনি দোকান সহ বেআইনি পার্কিং সব ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এবং মিশন হাসপাতালের সামনে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকলে এগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে অটো এবং টোটো চালকরা জানাচ্ছেন যে রোগীদের সুবিধার্থে আমরা হাসপাতালে সামনে ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যে গাড়ি রাখি। কিন্তু গাড়ি রাখার জন্যও তো যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে হাসপাতালে গেটের বাইরে। সেটাও স্বীকার করেছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন তাহলে হাসপাতালের কাছাকাছি কোন স্ট্যান্ড করে দেওয়া হোক যেখানে অটো টোটো সহ অন্যান্য যানবাহন রাখা যাবে। এ বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বেআইনি পার্কিং বেআইনি দোকান যেমন হাসপাতালে বাইরে বরদাস্ত করা হবে না তেমনি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা কিভাবে ব্যবস্থা করা যায় হাসপাতালের কাছে তা রোগীর পরিবার-পরিজনের জন্যই হোক বা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের বা রোগীকে নিয়ে আসা ছোট গাড়ি অটো টোটোর এসব নিয়ে অন্য ধরনের একটা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন তারা।
বে সিরিয়াস একজন রোগীকে তাড়াতাড়ি ভর্তি করতে হলে এই সমস্ত ভাবে বেআইনিভাবে রাখা গাড়ির চালকদেরও একটু সহৃদয় হতে হবে এবং অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ দুটি গেট শহরের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব সহকারে পালন করতে হবে যাতে সেই রোগী তাড়াতাড়ি চিকিৎসা ব্যবস্থা পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে না হলে হয়তো এমনও হবে একদিন তাদেরও পরিবার পরিজনদের এমন কেউ একই সমস্যার ভোগান্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অসুখে ভর্তি হতে গিয়ে আটকে গেলেন গেটার বাইরে যা গভীর দুঃখের কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment