কিন্তু খবর নিয়ে দেখা গেল বিষয়টা রয়েছে সম্পূর্ণ অন্য ঘটনা। দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিস এসোসিয়েশন দুর্গাপুর পুর নিগমের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । শিল্প তালুকে আসা যে সমস্ত পণ্য বাহিগাড়ি থেকে টোল নেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পুরসভায় আবেদন করা হয়েছিল যে, টোল নিলে বাইরে থেকে কোন গাড়ি শিল্পতালুকে আসতে চাইছে না । ফলে লোকসান হচ্ছে শিল্পপতিদের । পুরনিগম তা নিয়ে কোন হেলদোল না করায় বা সহজ ভাষায় পাত্তা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিল্পপতিরা । বর্তমানে দুর্গাপুর পুর নিগম এলাকায় কাঞ্জিলাল এভিনিউ ,নাচন রোড, হ্যানিম্যান সরণি নাচন এভিনিউ বনফুল সরণি, পিসিবিএল ও শ্যামপুর মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গায় পুর নিগম টোল আদায় করত। হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরেই ২২ শে জানুয়ারি সন্ধ্যে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় টোল নেওয়া ।ক্ষুদ্র শিল্প কারখানার অ্যাসোসিয়েশনের সংস্থার তরফে রতনলাল আগরওয়াল বলেন রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই এই টোল আদায় করা হয়েছিল। এর আগে অনেকবার আবেদন করার পরেও কোন কাজ না হওয়ায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই । এই বিষয় নিয়ে দুর্গাপুরের মেয়ের অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন টোল আয়ের জন্য সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে । আমরা বারবার এই নিয়ে কলকাতায় গেছি কিন্তু আমাদের কাছে লিখিত অনুমোদন পত্র জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। সেটা যেহেতু আমাদের হাতে নেই ,টোল আদায়ের বিষয়টা আদালতে নির্দেশে বন্ধ রাখা হচ্ছে । তবে অবৈধ কোন টোল নেওয়া হচ্ছিল এরকম বিষয় নয় । এখন এটাই দেখার নিয়ম বহির্ভূতভাবে এতদিন ধরে কি বিভিন্ন টোল থেকে টাকা আদায় করে ঘুঘুর বাসা চলছিল দুর্গাপুর পুর নিগমে তা জানা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গাপুর পুর নিগমের সমস্ত টোলট্যাক্স থেকে টোল আদায় বন্ধ হয়ে গেল ২২ শে জানুয়ারি সন্ধ্যে থেকে। হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর পুর কমিশনার সমস্ত টোল বন্ধ করতে বলেন। মঙ্গলবার সন্ধায় কয়েকজন পুর আধিকারিক ও কর্মীরা সমস্ত টোলে গিয়ে টোল আদায় বন্ধ করার নোটিশ চিটিয়ে দেন। এর ফলে দুর্গাপুর পুরসভার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment