এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন, “”আমি কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার একটি দুর্ঘটনার দিনে দেখলাম আইএনটিটিইউসির কোনও নেতা হাসপাতালে পৌঁছাননি। প্রভাত দা অসুস্থ ছিলেন, দিপুকে ফোন করলাম সে পরে এল। কিন্তু এখানকার তিনজন ব্লক সভাপতি তারা কি করছিল? আই এন টিটিইউসি মানে স্ট্যাম্প, প্যাড ঝাঁপিয়ে করে খাওয়া নয়। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। ৩৬৫ দিন শ্রমিকদের পাশে থাকতে হবে। না পারলে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। “”এরপরেই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “” কারখানায় কোন দাবী দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে সিপিআইএমের মতো জঙ্গী আন্দোলন করতে হবে। আইএনটিটিইউসিকে রেজিমেন্টেড পার্টি তে পরিণত করতে হবে। তা না হলে ইউনিয়ন থাকার কোন অর্থ হয় না, ইউনিয়ন তুলে নিক। “”এরপরেই চাঁছাছোলা পরিষ্কার ভাষায় নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন এবং বলেন, “”আমি এই দাদার লোক বলে পদ দেওয়া যাবে না, যোগ্য লোকদেরকে পথ দিতে হবে। “”আগামী ১০ তারিখ সমস্ত কলকাতার ব্রিগেডে শ্রমিকদের না নিয়ে যাওয়া হলে সেই ইউনিটের নেতাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : শ্রমিক সংগঠনের সভায় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর হুঁশিয়ার কয়েকজন ব্লক সভাপতি কে । আর মাত্র ২ দিন পরেই ১০ তারিখে শাসকদলের ব্রিগেডে জনগর্জন সভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য জেলায় জেলায় প্রচার এবং প্রস্তুতি তুঙ্গে।দুর্গাপুরেও জনগর্জন সভায় সমস্ত শ্রেণীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য জোরালো প্রচার চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। আজ দুর্গাপুরে আয়োজিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সভা দুর্গাপুরের বিধান ভবনে।দুর্গাপুরে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার টিএমসির সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, এই জেলার INTTUC এর সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতা ও কর্মীরা। ছিলেন বিশিষ্ট ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ ।
No comments:
Post a Comment