DurgapurUpdate

Durgapur Update 24 X 7 bengali news portal


Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, March 12, 2024

তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ কে বদনাম করতে, তার ছায়া সঙ্গীর কটুক্তি সাংবাদিককে

দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কে বদনাম করতে তার অজান্তে তার ছায়া সঙ্গী কল্যাণ মন্ডলের দুর্ব্যবহার সহ কটুক্তি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সাংবাদিক কে । ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে । গতকাল রাতে নরেন বাবুর ছায়াসঙ্গী সহ সমস্ত কাজকর্ম দেখেন যে কল্যান মন্ডল তাকে ফোন করেন ওই বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিক । বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের ইন্টারভিউ করার জন্য । এরপরে কল্যান মন্ডল জানিয়ে দেন আজ সকাল আটটায় দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হোটেলে তিনি এই ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করে দেবেন। সকাল সকাল হাজির হয় ওই সাংবাদিক এবং তার চিত্র সাংবাদিক । কল্যাণ মণ্ডল কে ফোন করলে তিনি জানান ইন্টারভিউ হবে না।  প্রার্থী ইন্টারভিউ দেবেন না । তারপরও অনুরোধ করার পর  কিছুক্ষণ ওয়েট করতে বলে কল্যাণ মন্ডল । এর পরই সাংবাদিক আবারো ফোন করে তাকে কিন্তু দু-দুবার ফোন করার পর সে আর ফোনটি তোলে না। এদিকে অফিসের অ্যাসাইনমেন্ট ,তাই বাধ্য হয়ে ওই সাংবাদিক ফোন করেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কে। তিনি ঘটনাটা শুনে যথেষ্ট অবাকই হন এবং নরেন্দ্রনাথ বাবু সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীর সাথে কথা বলে ইন্টারভিউ এর দ্রুত ব্যবস্থা করে দেন ।তার জন্য ওই সাংবাদিক নরেন্দ্রনাথ বাবুকে ধন্যবাদ জানায় । এর পরে দ্বিতীয় পর্ব।দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর প্রার্থী রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে এবং নরেন্দ্রনাথ বাবুকে সঙ্গে নিয়ে মন্দির চত্বরেই বিপরীত দিকে অন্নপূর্ণা মন্দিরে ওঠেন। তখন সেই সময় ওই সাংবাদিক সহ দূর্গাপুর প্রেসক্লাবের আরো কয়েকজন সাংবাদিক দাঁড়িয়েছিলেন । কল্যাণ মন্ডল তাদের জানায় অন্নপূর্ণা মন্দির থেকে সকলে নামলে হাতে হাত দিয়ে হাত তুলে ছবি করতে হবে মন্দিরের নিচে প্রার্থী সহ সকলের । সেই কথামতো সকলেই ওখানে দাঁড়িয়ে যায় এবং যখন তাঁরা মন্দির থেকে নিচে নেমে আসেন এই বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিক নরেন্দ্রনাথ বাবুকে কল্যাণ মন্ডলের কথা অনুযায়ী প্রার্থীকে মন্ত্রী কে নিয়ে হাতে হাত দিয়ে হাত তুলে দাঁড়ানোর কথা বলেন । সাংবাদিক ভেবেছিলেন কল্যাণ তাদের বলার আগে নিশ্চয়ই নরেন্দ্রনাথ বাবুর সাথে কথা বলে নিয়েছে কিন্তু দেখা গেল আদপে তা ভুল । নরেন্দ্রনাথ বাবু পরিষ্কার ভাষায় জানালেন এইখানে এইরকম করার জায়গা নয় সব জায়গায় সবটা ঠিক নয়  । একদম ঠিকই বলেছেন আমরাও তাই জানি । কিন্তু কল্যাণ মন্ডল আমাদের এই কথা বলেছিল সেটা নরেন বাবু জানতেন না । সকলের সামনে  এই কথা নরেন্দ্রনাথ বাবুর মুখে শুনে  সাংবাদিকরা একটু বেকায়দায় পড়ে যায়। তখন সাংবাদিকরা জানায় কল্যাণ মন্ডল এটা করতে বলেছে। সেই সময় কল্যাণ মন্ডল সম্পূর্ণরূপে পাল্টি খেয়ে জেলা সভাপতি কে জানায় সে এই কথা বলেনি। অতএব দোষ গিয়ে পড়ল সাংবাদিকদের ঘাড়ের ওপর ।এরপর ওই সাংবাদিক দুটি গ্রুপে এই মিথ্যাচারের জন্য প্রতিবাদ জানায় তখন মেসেজগুলো ডিলিট করে দেয় কল্যাণ মন্ডল এবং সাংবাদিককে ফোন করে বিভিন্ন ভাষায় কটুক্তি করে । প্রত্যুত্তরে সাংবাদিক ও তাকে উচিত জবাব দেয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বারবারই কল্যাণ মন্ডল সম্বন্ধে নানান অভিযোগ উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমের কাছে । আজকে এই ঘটনা তার জল জ্যান্ত প্রমাণ । মাননীয় নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানেন না এই ঘটনা ।  শুধু এই ঘটনা কেন এমন অনেক ঘটনায় তিনি জানেন না যা কল্যাণ মণ্ডল করে বেড়ায় বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ । সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই ভাষায় কথা বলার অধিকার কল্যান মন্ডল কোথা থেকে পেলেন সেই উত্তর কে দেবে তা এখন অপমানিত এই সাংবাদিক এর কাছে বড় প্রশ্ন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot