DurgapurUpdate

Durgapur Update 24 X 7 bengali news portal


Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, September 16, 2023

ডিপিএলের ফাঁকা আবাসন বিল্ডিং ভাঙার সময় চাপা পড়ে মৃত্যু একজনের, দায় কার প্রশ্ন উঠেছে?

দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : ডিপিএল কলোনির ফাঁকা বিল্ডিং ভাঙার সময় চাপা পড়ে মৃত্যু একজনের এলাকায় চাঞ্চল্য। মৃতের নাম সঞ্জয় বাগদি।
দুর্গাপুরের ডি পি এল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসন এলাকার বেশিরভাগ ঘরই বহিরাগতদের দখলে। এর জন্য যে সমস্ত একতলা ও দোতলা আবাসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে সেগুলো যাতে বহিরাগতদের দখলে না চলে যায় তার জন্য লিস্টেড করা ডিপিএল এলাকার এজোন  ও  বিজোন  কলোনিতে কয়েক মাস ধরে ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে। আজ ডিপিএলের বিজোন এলাকায় একটি দোতলা বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ চলছিল যন্ত্র দিয়ে। এই বিল্ডিং ভাঙ্গার সময় যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে একজনের চাপা পড়ে মৃত্যু হয়। এরপরেই ভিড় জমে এলাকায় কোক ওভেন থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ বের করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু এই ভাঙ্গার সময় কেন নিরাপত্তার দিকটা জোর দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিপিএল সুত্রে জানা গেছে এই সমস্ত ঘর যেগুলো ভাঙ্গা হচ্ছে সেগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে তাই কেউ  এখানে দখল করে বসবাস করে তাহলে যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই আগে থেকেই সেই ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।  এলাকার বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন বহিরাগতদের দখলে থাকা যে সমস্ত ঘর রয়েছে সেই ঘর গুলো নিয়ে ডিপিএলের কোন নজরদারি নেই। অন্যদিকে যে সমস্ত ঘর ভাঙ্গা হচ্ছে তার ইট থেকে লোহা থেকে নানান সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেও একটি চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। অনেকে আবার এ অভিযোগ করছেন বেশ কিছু ফাঁকা ঘর থেকে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই দরজা-জানলা খুলে নিয়ে চলে গিয়ে স্টক করে রাখছে। যদিও ডিপিএলের  তরফে বলা হয়েছে অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তবে একজন নিরীহ মানুষের এভাবে প্রাণ চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ডিপিএলের দিকেই এবং যে ঠিকা সংস্থা এই কাজ করছে তার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। ঠিকাদার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে এই নিয়ে ১৮ নম্বর বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ চলছিল। এছাড়া অন্য এলাকাতেও কিছু ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। যার মৃত্যু হয়েছে তারা তাদের লেবার নন তারা বাইরে থেকে আসে দল বেঁধে এবং ইট সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তাদের বারবার বারণ করা হলেও শোনেনা। এখান থেকে ইট সংগ্রহ করে তারা বাইরে কম দামে বিক্রি করে এটাই তাদের ব্যবসা আজকেও তাই হচ্ছিল তাদেরকে বারন করা হলেও তারা শুনছিল না। মাঝে কিছুক্ষণ মেশিন বন্ধ ছিল সেই সময় তারা ইট কালেকশন করছিল তখনই একজন চাপা পড়ে যায়। তাহলে এই যে দুর্ঘটনা ঘটে গেল একজনের মৃত্যু ঘটে গেল তাদের দায় ডিপিএলের না ঠিকাসংস্থার না পুলিশের কার??? এই ইট সংগ্রহ করার পেছনে কি কোন মাফিয়া চক্র কাজ করছে নাকি এই ইট কালেকশনের জন্য ঠিকাদার কেও মোটা টাকা দিতে হয়। নাকি অন্য কেউ কাট মানি খায় এবং এদেরকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রশ্ন এখন ঘুরছে ডিপিএল আবাসন এলাকায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot