জানা গেছে, একসময় দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত এমএমসি কারখানায় চাকরি করতেন শ্রীকান্ত বর্মন। তিনি আবার ছিলেন কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। তার স্ত্রী বেলারারানী বর্মন এমএএমসি হাসপাতালের আয়া। পরে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের আয়া ছিলেন। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন আর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মন ঘর জামাই। এক সময় তার স্বামী মারা যায়। বয়স বাড়ায় বেলারানীরও অবসর হয়ে যায়। তারপর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মনের আউসগ্রামের শ্বশুরবাড়িতে বেলারানী ঠাঁই নিয়েছিলেন। সাত দিন আগে তার ছেলে বৌমা মিলে তাকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে বলে অভিযোগ। তারপরেই অসহায় অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ছেড়ে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার দক্ষিণ পল্লীর একটি দুর্গামন্দিরে আশ্রয় নেন। মশারি খাবার আর জলের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় রা। মায়ের মত যত্নে জড়িয়ে রাখেন তারা অবশেষে খবর যায় নিউ টাউনশিপ থানার ওসি নাসরিন সুলতানার কাছে। তারপর সমাজকর্মী সৌরভ আইচ এবং অন্ডাল পরিবারের চপল বাবুর সহযোগিতায় এখন বেলা দেবী আশ্রয় অন্ডাল পরিবারে। শান্তিতে আছেন তিনি ভালো আছেন। আজও মানুষের পাশে আছে মানুষ। কষ্টে যন্ত্রণায় প্রাণ কেঁদে ওঠে এখনো অনেকের । এখনো মায়ের জন্য অনেক অনেক সন্তান রয়েছে। এমনই ছবি যেন বারবার ধরা পড়ে আমাদের ক্যামেরায়। যাতে আমরা সবাই আরো সচেতন আরও দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে থাকতে পারি।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : পরম স্নেহে আঁচলের যত্নে আশ্রয় বাঁচিয়ে রাখা সন্তানই আশ্রয়হীন করল মাকে। এমনটাই অভিযোগ মায়ের মুখে। আক্ষেপ আমি এখন কাজ করতে পারি না তাই এই অত্যাচার। একটু বিষ দিয়ে দাও না আমি নদীর ধারে পড়ে পড়ে মরে যাই। এই আর্তনাদ শুনে চোখে জল সকলের। তিনি বেলা রানী বর্মন। বেলা ফুরায় তবুও বাইরেই ঠাঁই। পুত্র আর পুত্রবধূর অত্যাচারে অসহায় বৃদ্ধ মা কাঁদছে নিউ টাউনশিপ থানার দক্ষিণ পল্লীর দুর্গা মন্দিরের আটচালাতে।
No comments:
Post a Comment