নিছকই দুর্ঘটনা না এর পেছনে রয়েছে রহস্যময় কারণ???? দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার র মেটিরিয়াল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার শমিত ভট্টাচার্যের নিথর দেহ উদ্ধারের পর এখন পুলিশ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে আরো গতি আনতে চাইছে। গতকাল সকালে প্রতিদিনকার মতো নিজের দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সেল কোঅপারেটিভের বাড়ি থেকে ডিউটিতে বেরিয়েছিলেন শমিত বাবু। সকাল এগারোটার পর থেকে কারখানার ভেতর থেকে আর খোঁজ মেলেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এই আধিকারিকের। কারখানার ভেতর অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও শমিত বাবুকে খুঁজে না পাওয়ার পর ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ কুকুর নিয়ে কারখানার ভেতর তল্লাশি চালায়, কিন্তু খোঁজ মেলেনি, এরপর নাইট শিফট এর ডিউটিতে এসে তারই এক সহকর্মী দেখতে পান জে ২৫ বাঙ্কারের লিফট এর নিচে পড়ে রয়েছে শমিত ভট্টাচার্যের দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে, রাত আড়াইটা নাগাদ তার দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।কিন্তু কারখানার ভেতর লিফট এর তলায় গেলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এই আধিকারিক, এই প্রশ্ন তুলেছে তার সহকর্মী থেকে পরিবারের লোকজন এমনকি শ্রমিক সংগঠনগুলি। বছর খানেক আগে ঠিক এইরকম ভাবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এক কর্মী নিখোঁজ হয় পড়ে তার দেহ উদ্ধার হয় কারখানার ভেতর থেকেই, এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের আরো এক আধিকারিক প্রায় ১৬ ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর তার দেহ উদ্ধার, ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে, এইদিকে সকালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ কর্তারা দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের সাথে সাথে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সাথে। ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে তদন্তের স্বার্থে যা যা করা উচিত সবটাই করা হচ্ছে বলে আসানসোল দুর্গাপুরের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নিখোঁজ কর্মীর দেহ অবশেষে মিললো কারখানার ভেতরেই..
No comments:
Post a Comment