সেই ঘটনার পর দু দিন পর ফের সোমবার সংঘর্ষ বাধে।এবার আনারুল শেখ নামের ব্যক্তিকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে ময়না শেখের দলবলের বিরুদ্ধে।
আনারুল শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসের দরজা জানালা লাগানোর জন্য ময়না শেখ আনারুল শেখের কাছে টাকা চায়।তাকে বলা হয় দলের জন্য এই টাকা ১৬ আনার ফান্ড থেকে দিতে।আনারুল শেখ সেই টাকা দিতে নারাজ।উল্টে আনারুল শেখ ময়না শেখের বিরুদ্ধে পার্টি ফান্ডের টাকা তছরূপ করার অভিযোগ তোলে।এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে গত শনিবার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।অভিযোগ এর পরেও বাড়ি ফেরার সময় ময়না শেখের উপর হামলা চালানো হয়।
ময়না শেখের স্ত্রী বুদবুদের দেবসালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। ফলে গ্রামে তার একটা দাপট রয়েছে।
ফলে সেই ইস্যু নিয়েই সোমবার রাতে তর্কাতর্কি থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ।অভিযোগ সোমবার রাতে ময়না শেখের লোকজন আনারুল শেখের ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়।সংঘর্ষে আহত হয় ৩জন।তাদের উদ্ধার করে পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখান থেকে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও দুই জনকে মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানেই চিকিৎসাধীন দুইজন।এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূলের সাথে যুক্ত।আর এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে অস্বস্তি তে পড়তে হয়েছে ব্লক ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
সোমবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কাঁকড়া গ্রাম।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার দেবসালা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেয়।গ্রাম জুড়ে উত্তেজনা থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামে মোতায়েন ছিলো বুদবুদ থানার পুলিশ। দুই পক্ষই বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা রমন শর্মার অভিযোগ,অনেকদিন ধরেই আউশগ্রামে বিধায়ক গোষ্ঠীর সাথে ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্ধ চলছে।এটা নতুন কিছু না।সব কিছুই ভাগ বটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধ।তবে যা ঘটেছে এটাই তৃণমূলের কালচার।যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন মানুষকে এর ফল ভুগতে হবে।
No comments:
Post a Comment