DurgapurUpdate

Durgapur Update 24 X 7 bengali news portal


Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, May 17, 2025

নির্মল বাংলার সচ্ছতা নিয়ে আলোচনা সহ রিভিউ মিটিং দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে

দুর্গাপুর আপডেট নিউজ ডেস্ক : বিধান চন্দ্র গাঙ্গুলী, দুর্গাপুর : পুরোপুরি নির্মল করতে শহরে আয়োজিত হলো স্বচ্ছতা নিয়ে রিভিউ মিটিং । পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্যে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প শুরু করেন রাজ্য সরকার। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এমনকি বিশ্বমঞ্চেও প্রশংসিত হয় এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় শৌচালয় নির্মাণের ফলে বাইরে শৌচকর্ম অনেকাংশেই নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। তথাপি এখনও বহু গ্রামেই বাইরে শৌচকর্ম করতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা। কোথাও আবার সচেতনতার অভাবে কমিউনিটি শৌচালয় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, বহু এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ নিষ্কাশন কেন্দ্র তৈরি হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। অনেক জায়গায় আবার "মিশন নির্মল বাংলা" প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন মানুষেরা। তাই বাংলাকে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও নির্মল বানাতে কর্তৃপক্ষের তদারকী একান্ত প্রয়োজনীয়। এরই প্রাসঙ্গিকতায় শনিবার দুপুরে দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পঞ্চায়েতের স্বচ্ছতা নিয়ে একটি রিভিউ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।  পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব পি উল্গানাথন এবং পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নেতৃত্বে। পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও জেলাশাসকদের নিয়ে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তিন জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের তুলোধোনা করেন সচিব। সচিব পি উল্গানাথন বলেন, "এখনও অনেক জায়গায় বাইরে শৌচকর্ম করতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা। বাড়িতে শৌচালয় বানাতে টাকা দিচ্ছে সরকার কিন্তু তবুও বহু পঞ্চায়েত শৌচালয় বানাচ্ছে না। কমিউনিটি শৌচালয় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা কেন তৎপর নন? প্লাস্টিকের বদলে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করা হচ্ছেনা। নিজের নিজের পঞ্চায়েতকে নির্মল করতে হলে এলাকার প্রতিনিধিদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবেই নির্মল বাংলা গড়ে উঠবে।" পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের তুলোধোনা করার পাশাপাশি ভালো কাজের জন্য বেশ কিছু পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রশংসাও করেন তিনি। তিনি জানান, "নির্মল বাংলায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এগিয়ে রয়েছে কাজোড়া ও গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই দুই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। রাজ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে নির্মল করতে সকলেই বদ্ধপরিকর হতে হবে। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের প্রারম্ভে আধিকারিকেরা মাঠে মাঠে ঘুরতেন। এখন মানুষ অনেকটাই সচেতন। বাড়িতেই শৌচকর্ম সারেন। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্রগুলোতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে নিয়োগ করা হয়েছে। মিশন নির্মল বাংলা সফল হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।" পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সচিব ও রাজ্য মন্ত্রীর ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাভালম এস, বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot